ভারতের সনাতনী ধর্মাবলম্বীরা যতো আস্থা- ভরসা ভগবান শিবের উপরে রাখেন ততো আস্থা-ভরসা ভগবান রামচন্দ্রের উপরে রাখেন না। এর প্রমাণ স্বরূপ ভারতে এবং বিদেশে যতো শিব মন্দির এবং শিবলিঙ্গ আছে তার অর্ধেক মন্দির ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের নেই।
ধার্মিক মাহাত্ম্যের কথা যদি বলি শিবকে ভগবান হিসেবে শ্রদ্ধা করা হয়, আর রামচন্দ্রকে ঈশ্বরের অবতার পুরুষোত্তম অর্থাৎ পুরুষদের মধ্যে সর্বোত্তম অর্থাৎ মানুষ হিসেবে গণ্য করা হয়।
এই ভূ-পৃষ্ঠের উপরে কমপক্ষে 12 টি স্থানে রামচন্দ্রের জন্মভূমি বলে গণনা করা হয়, এবং সেই সব স্থানকে রামজন্মভূমি হিসেবে মন্দির তৈরী করা হয় এবং পূজাপাঠ করা হয়। যার মধ্যে পাঁচটি স্থান অযোধ্যাতে অবস্থিত, অবশিষ্ট কুরুক্ষেত্র, কম্বোডিয়া, পাকিস্তান এবং থাইল্যান্ডে আছে।
বলার অর্থ হচ্ছে রামচন্দ্রের জন্মভূমি নিয়ে সনাতনী ধর্মাবলম্বীরাই একমত নন। যদিও তারা শিবের বসবাস স্থল 'কৈলাশ মানস সরোবর' নিয়ে কারোর কারোর দ্বিমত নেই, অর্থাৎ সবাই একমত আছেন এবং কোনোও প্রকারের কোনোও বিবাদ-বিসম্বাদ নেই এবং আজ পর্যন্ত হয়নি।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে আজ পর্যন্ত ভারত বা ভারত শাসক বা আট শত বছরের পরে ভারতের ভাগ্যবিধাতার পদে অধিষ্ঠিত শুদ্ধ হিন্দু শাসক কোনোদিন 'কৈলাশ মানস সরোবর' কে চীনের কব্জা থেকে মুক্ত করার জন্য না কোনোও চেষ্টা করেছেন না মুক্ত করার জন্য কোনোও প্রকারের আন্দোলন করেছেন।
অর্থাৎ ভগবান শিবের বসবাস স্থল এখন চীনের কব্জায়। আর তাকে মুক্ত করানোর জন্য কোনোও সরকার চেষ্টা ও করেননি। যেখানে 12 টি স্থানে জন্মগ্রহণকারী ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের জন্মভূমি নিয়ে পুরো দেশে মহাভারত হয়ে গেছে এবং এখনও হচ্ছে।
স্বাধীনতার পরে চীন "কৈলাশ পর্বত ও কৈলাশ মানস সরোবর" এবং অরুনাচল প্রদেশের এক বৃহৎ ভূ-খন্ড জোরজবরদস্তি নিজেদের কব্জায় নিয়ে নেয়, এবং আধিপত্য বিস্তার করে। দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী 'জওহরলাল নেহরু' UNO যান এবং দাবী জানান চীন অবৈধভাবে ভারতের এক বিশাল ভূ-খন্ড কব্জা করে রেখেছে। সেই ভূ-খন্ড ভারতকে ফেরৎ দেওয়া হোক।
ভারতের এমন দাবীর উত্তরে চীন জানায় - আমরা ভারতের কোনোও ভূ-খন্ডে জোরজবরদস্তি কব্জা করে রাখিনি। আমরা আমদের দেশের সেইটুকু ভূ-খন্ড ফেরৎ নিয়ে নিয়েছি যেটুকু 1680 খ্রিস্টাব্দে ভারতের এক বাদশাহ চীনের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। চীনের এই জবাব আজোও UNO তে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।
আপনারা জানেন চীন কোন বাদশাহ নাম নিয়েছিল? "বাদশাহ আওরঙ্গজেব।"
আসলে চীন এর পূর্বে ও ভারতের ঐ অংশে কব্জা করে রেখেছিল। বাদশাহ আওরঙ্গজেব চীনের চিং রাজবংশের রাজা 'প্রথম শুংজী' -কে পত্র প্রেরণ করেন। সেই পত্রে বাদশাহ আওরঙ্গজেব আবেদন করেন- "কৈলাশ মানস সরোবর হিন্দুস্থানের অংশ, এবং আমার হিন্দু ভাই-বোনদের আস্থার কেন্দ্র। অতএব আপনারা হিন্দুস্থানের ঐ অংশ মুক্ত করে দিন।"
কিন্তু দেড় মাস পরেও চীনের রাজা 'প্রথম শুংজী' -এর কোনোও উত্তর না পেয়ে বাদশাহ আওরঙ্গজেব চীনের উপরে আক্রমণ করে দেন। বাদশাহ আওরঙ্গজেবের সঙ্গে এই যুদ্ধে ছিলেন কুমাঁউ -এর রাজা 'বাজ বাহাদুর চন্দ্র'। তিনি বাদশাহ আওরঙ্গজেবের সঙ্গে কুমাঁউ-এর পথ দিয়ে দেড় দিনে চীন পৌঁছে যান এবং দেড় দিনে চীনের কাছ থেকে ভারতের ভূ-খন্ড ছিনিয়ে নেন।
ইনি সেই বাদশাহ আওরঙ্গজেব যাকে কট্টরপন্থী ইসলামিক বাদশা এবং 'হিন্দুকুশ', 'হিন্দু বিরোধী' বলা হয়। কেবলমাত্র তিনিই সাহস দেখিয়ে ছিলেন এবং সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে দিয়েছিলেন।
ইতিহাসের এই অংশের প্রমাণ যদি চান তবে স্বাধীনতার সময়কালের UNO -তে আজোও সংরক্ষিত করে রাখা সেই দলিল, সেই হলফনামা দেখে আসতে পারেন।
#Reference:
History of Uttaranchal, Written by- O. C. Handa
The Tragedy of Tibbat- Manmohan Sharma
(অনুবাদিত- National Speak News Portal -এ প্রকাশিত, জাহিদ এর লেখা)
ধার্মিক মাহাত্ম্যের কথা যদি বলি শিবকে ভগবান হিসেবে শ্রদ্ধা করা হয়, আর রামচন্দ্রকে ঈশ্বরের অবতার পুরুষোত্তম অর্থাৎ পুরুষদের মধ্যে সর্বোত্তম অর্থাৎ মানুষ হিসেবে গণ্য করা হয়।
এই ভূ-পৃষ্ঠের উপরে কমপক্ষে 12 টি স্থানে রামচন্দ্রের জন্মভূমি বলে গণনা করা হয়, এবং সেই সব স্থানকে রামজন্মভূমি হিসেবে মন্দির তৈরী করা হয় এবং পূজাপাঠ করা হয়। যার মধ্যে পাঁচটি স্থান অযোধ্যাতে অবস্থিত, অবশিষ্ট কুরুক্ষেত্র, কম্বোডিয়া, পাকিস্তান এবং থাইল্যান্ডে আছে।
বলার অর্থ হচ্ছে রামচন্দ্রের জন্মভূমি নিয়ে সনাতনী ধর্মাবলম্বীরাই একমত নন। যদিও তারা শিবের বসবাস স্থল 'কৈলাশ মানস সরোবর' নিয়ে কারোর কারোর দ্বিমত নেই, অর্থাৎ সবাই একমত আছেন এবং কোনোও প্রকারের কোনোও বিবাদ-বিসম্বাদ নেই এবং আজ পর্যন্ত হয়নি।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে আজ পর্যন্ত ভারত বা ভারত শাসক বা আট শত বছরের পরে ভারতের ভাগ্যবিধাতার পদে অধিষ্ঠিত শুদ্ধ হিন্দু শাসক কোনোদিন 'কৈলাশ মানস সরোবর' কে চীনের কব্জা থেকে মুক্ত করার জন্য না কোনোও চেষ্টা করেছেন না মুক্ত করার জন্য কোনোও প্রকারের আন্দোলন করেছেন।
অর্থাৎ ভগবান শিবের বসবাস স্থল এখন চীনের কব্জায়। আর তাকে মুক্ত করানোর জন্য কোনোও সরকার চেষ্টা ও করেননি। যেখানে 12 টি স্থানে জন্মগ্রহণকারী ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের জন্মভূমি নিয়ে পুরো দেশে মহাভারত হয়ে গেছে এবং এখনও হচ্ছে।
স্বাধীনতার পরে চীন "কৈলাশ পর্বত ও কৈলাশ মানস সরোবর" এবং অরুনাচল প্রদেশের এক বৃহৎ ভূ-খন্ড জোরজবরদস্তি নিজেদের কব্জায় নিয়ে নেয়, এবং আধিপত্য বিস্তার করে। দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী 'জওহরলাল নেহরু' UNO যান এবং দাবী জানান চীন অবৈধভাবে ভারতের এক বিশাল ভূ-খন্ড কব্জা করে রেখেছে। সেই ভূ-খন্ড ভারতকে ফেরৎ দেওয়া হোক।
ভারতের এমন দাবীর উত্তরে চীন জানায় - আমরা ভারতের কোনোও ভূ-খন্ডে জোরজবরদস্তি কব্জা করে রাখিনি। আমরা আমদের দেশের সেইটুকু ভূ-খন্ড ফেরৎ নিয়ে নিয়েছি যেটুকু 1680 খ্রিস্টাব্দে ভারতের এক বাদশাহ চীনের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। চীনের এই জবাব আজোও UNO তে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।
আপনারা জানেন চীন কোন বাদশাহ নাম নিয়েছিল? "বাদশাহ আওরঙ্গজেব।"
আসলে চীন এর পূর্বে ও ভারতের ঐ অংশে কব্জা করে রেখেছিল। বাদশাহ আওরঙ্গজেব চীনের চিং রাজবংশের রাজা 'প্রথম শুংজী' -কে পত্র প্রেরণ করেন। সেই পত্রে বাদশাহ আওরঙ্গজেব আবেদন করেন- "কৈলাশ মানস সরোবর হিন্দুস্থানের অংশ, এবং আমার হিন্দু ভাই-বোনদের আস্থার কেন্দ্র। অতএব আপনারা হিন্দুস্থানের ঐ অংশ মুক্ত করে দিন।"
কিন্তু দেড় মাস পরেও চীনের রাজা 'প্রথম শুংজী' -এর কোনোও উত্তর না পেয়ে বাদশাহ আওরঙ্গজেব চীনের উপরে আক্রমণ করে দেন। বাদশাহ আওরঙ্গজেবের সঙ্গে এই যুদ্ধে ছিলেন কুমাঁউ -এর রাজা 'বাজ বাহাদুর চন্দ্র'। তিনি বাদশাহ আওরঙ্গজেবের সঙ্গে কুমাঁউ-এর পথ দিয়ে দেড় দিনে চীন পৌঁছে যান এবং দেড় দিনে চীনের কাছ থেকে ভারতের ভূ-খন্ড ছিনিয়ে নেন।
ইনি সেই বাদশাহ আওরঙ্গজেব যাকে কট্টরপন্থী ইসলামিক বাদশা এবং 'হিন্দুকুশ', 'হিন্দু বিরোধী' বলা হয়। কেবলমাত্র তিনিই সাহস দেখিয়ে ছিলেন এবং সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে দিয়েছিলেন।
ইতিহাসের এই অংশের প্রমাণ যদি চান তবে স্বাধীনতার সময়কালের UNO -তে আজোও সংরক্ষিত করে রাখা সেই দলিল, সেই হলফনামা দেখে আসতে পারেন।
#Reference:
History of Uttaranchal, Written by- O. C. Handa
The Tragedy of Tibbat- Manmohan Sharma
(অনুবাদিত- National Speak News Portal -এ প্রকাশিত, জাহিদ এর লেখা)
No comments:
Post a Comment