The Shadow of Barak:Now a days it is very easy to get information through digital platform but no one can say how much reliable it is.Don't worry we are introduce a new technique to publish authentic news via you.Now you are the news reporter of our web site i.e The Shadow of Barak.Send us your news through whatsapp or mail.

  • .

নারিকে শুধু মাত্র দৈন্দিন জীবনের ভোগ বিলাসের পন্য দিয়ে সংসার হয় না তার পর অন্য কিছুর প্রয়োজন আছে?

আমরা যখন কোনো মেয়ের ধর্ষিতা হবার সংবাদ পত্রিকার পাতায় পড়ি কিংবা ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারি, তখন দেখি দুই ধরণের মানুষ নিজস্ব মতামত নিয়ে হাজির হয়েছে।

প্রথম পক্ষ বলছে- মেয়েটার পোশাক এবং চলাফেরায় সমস্যা ছিলো, তাই রেপড হইছে। শালীন পোশাক পরিহিতারা কখনই রেপড হয় না।

দ্বিতীয় পক্ষ বলছে- সমস্যা পোশাকে নয়, মানসিকতায়। একটা মেয়ে যা খুশী তাই পরতে পারে, তাই বলে আপনি তাকে রেপ করতে যাবেন? আগে নিজের মানসিকতা ঠিক করেন।

প্রথমে আমি আমার নিজের অবস্থানটা পরিষ্কার করে নেই। রেপ কখনই পোশাকের কারণে হয় না। রেপের মূল কারণ বিকৃত মানসিকতা। এখন এই বিকৃত মানসিকতা এলো কোথা থেকে? এটা কি একদিনে তৈরী হয়েছে? কারো ফ্যামিলি যত খারাপই হোক না কেন, তারা নিশ্চয়ই সন্তানকে ধর্ষণের শিক্ষা দেন না। আগে তো ধর্ষণের পরিমাণ এত বেশী ছিলো না। এখনকার তুলনায় আগে মেয়েদের অনেক বেশী সম্মানের দৃষ্টিতে দেখা হতো। ইদানীং মেয়েদের একজন মানুষ হিসেবে যতটা নয়, তারচাইতে ভোগ্যপণ্য হিসেবে বেশী দেখা হয়। আগেও এমন মানসিকতা ছিলো না, তা বলছি না। তবে মাত্রাটা ছিলো অনেক কম।

মেয়েরা এখন আগের চাইতে শিক্ষা দীক্ষায় অনেক এগিয়ে। কর্মক্ষেত্রে তারা পুরুষদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। তারপরও মেয়েদের প্রাপ্য সম্মানটা সঠিকভাবে দেয়া হয় না। কেন?

এর পেছনে মিডিয়া, পশ্চিমা সংস্কৃতি এবং বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো অনেকাংশে দায়ী। তারা সব কিছুতে মেয়েদের শরীরকে পুঁজি করে নিজেদের পণ্য বিক্রির চেষ্টায় লিপ্ত থাকে। তাদের থিওরি হলো, যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত পোশাকে মেয়েটাকে গ্ল্যামারাসভাবে সবার সামনে হাজির করতে হবে। একজন নারীকে দিয়ে যৌনাবেদন সৃষ্টির মাধ্যমে তারা তাদের পণ্য বিক্রির প্রচেষ্টা চালায়। তারা কিন্তু একজন উদোম পুরুষকে দিয়ে যৌনাবেদন সৃষ্টির প্রচেষ্টা চালায় না। তাদের থিওরিতে নারী যত স্বল্প বসনা, তার সেক্স এ্যাপিল তত বেশী। সেই নারীকে প্রচারের কাজে ব্যবহারে তাদের বিক্রিও তত বাড়তি। পুরুষেরা তাই এসব দেখে দিন দিন মেয়েদের পণ্য হিসেবেই গণ্য করছে।

নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা অন্ধভাবে পশ্চিমা সংস্কৃতি অনুসরণে ব্যস্ত। তারা পশ্চিমাদের পোশাকআশাক ফলো করছে, হেয়ার স্টাইল ফলো করছে, ‘ফা* ইউ, মাদা*ফা*র’ জাতীয় গালিগালাজ ফলো করছে, কিন্তু তাদের ভালো দিকগুলো ফলো করছে না। ওরা চ্যারিটির মাধ্যমে মানুষকে সাহায্য করে, নিজের দেশের রাস্তাঘাট ক্লিন রাখে, লোক ঠকিয়ে ব্যবসা করে না। ওদের আইনকানুন কড়া, কথায় কথায় ঘুষ দেয় না/খায় না। উল্টো রাস্তায় গাড়ি চালায় না। এই ভালো জিনিসগুলো ফলো করছে না। বেশী দূরে না যাই। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের একজন নাগরিক তার নিজের দেশকে যতটা ভালোবাসে, একজন বাঙ্গালী কি নিজের দেশকে তার সিকি ভাগও বাসে?

পঁচিশ ত্রিশ বছর আগে মুক্তি পাওয়া এবং হাল জামানার দুটো মুভি নিয়ে দেখতে বসুন, মানসিকতা বদলে যাওয়ার পার্থক্যটা কিছুটা হলেও ধরতে পারবেন। পুরোনো মুভিটাতে গল্প এবং অভিনয়ের প্রতি জোর দেয়া হয়েছিলো আর নতুন মুভিতে নাচ, গান, রেপ সিন, আইটেম সং, নায়িকার শরীরের বাঁক প্রদর্শন সর্বোপরি গ্ল্যামার বৃদ্ধির ওপর জোর দেয়া হয়।

আচ্ছা একজন টম ক্রুজ কিংবা একজন শাহরুখ খানের মুভিতে নায়িকা কে বা কী করছে, এসব নিয়ে আপনি কি খুব বেশী মাথা ঘামান? এদের ছবিতে যৌনাবেদন খুঁজতে যান? মনে হয় না। এরা একাই পুরো মুভিতে আপনার মনোযোগ ধরে রাখে। আফসোস, আমাদের দেশে এমন কেউ নেই। তাই পরিচালক আর প্রযোজকরা ভাবেন, নায়িকার দেহের বাঁক প্রদর্শন করে দর্শকদের আকৃষ্ট করতে হবে। এখন টিভি নাটকের পোশাকেও পরিবর্তন চলে এসেছে। কেউ কেউ বলবেন, আরে এসব তো বর্তমান ফ্যাশন ট্রেন্ড। কিছু কিছু টিভি নায়িকা নাটকে তাদের ক্লিভেজ প্রদর্শন করে। এসব ফ্যাশন? সরাসরি দেখানো না হলেও এমন কিছু ইঙ্গিতপূর্ণ দৃশ্য দেখানো হয়, যা ড্রয়িংরুমে সপরিবারে বসে দেখাটা প্রচণ্ড অস্বস্তিকর। এগুলোও ট্রেন্ড?

একটা সময় ফেসবুক ছিলো না। ইন্টারনেট ছিলো না। মোবাইল ছিলো না। একটা মেয়ের মন গলাতে তখন একটা ছেলেকে রীতিমত পর্বতশৃঙ্গ পাড়ি দিতে হতো। মনের ভাব প্রকাশে চিঠি লেখা ছাড়া অন্য আর কোনো উপায় ছিলো না। চিঠি লিখতে নিজের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগাতে হতো। কাঠফাটা রোদে মেয়েটি এই পথ দিয়ে যাবে, এই আশায় ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। একজনের মন জয় করতেই এত কষ্ট করতে হতো যে, তাকে সহজে ছেড়ে যাবার কথা কল্পনাতেও আসতো না।

এখন আর সে দিন নেই। ঘরের বাইরেও যেতে হয় না। ঘরে বসেই ফেসবুকে কিছু মিষ্টি কথায় একটা মেয়ের সাথে রিলেশনশিপ বিল্ডআপ করা যায়। ছেলেটা যদি ভালো ভালো কিছু কথা লিখতে পারে, তাহলে ব্যাপারটা আরও সহজ হয়ে দাঁড়ায়। তারপর পার্কে রেস্টুরেন্টে ডেট, সুযোগ বুঝে রুমডেট এবং একটা পর্যায়ে গিয়ে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে ফিজিক্যাল রিলেশন। এরপর স্বভাবতই মেয়েটিকে তার আর আগেরমত ভালো লাগে না। ফলাফলঃ ব্রেকআপ এবং নতুন
আরেকজন সঙ্গীর খোঁজে এখানে ওখানে ঢুঁ মারতে শুরু করা।

মিডিয়া বলুন আর রিলেশনের কথাই বলুন, প্রতিটা ক্ষেত্রে কিন্তু ছেলেরাই খুব সূক্ষ্মভাবে মেয়েদের ইউটিলাইজ করে যাচ্ছে। যেটা মেয়েরা প্রায়শই ধরতে পারে না। মেয়েদের ড্রেস ডিজাইনার কারা? বেশীরভাগই পুরুষ। অতি সূক্ষ্মভাবে মেয়েদের মাথায় কিছু পুরুষ এই কথাগুলো ঢুকিয়ে দিচ্ছে এভাবে- ‘তোমার শরীর, তুমি যা খুশী তাই পরবা। ওরা দেখবে কেন? ইসলামে ছেলেদের দৃষ্টি সংযত রাখতে বলা হয়েছে। ওদের উচিৎ নিজেদের মানসিকতা বদলে ফেলা।’ আপনার শরীর আপনি দেখাবেন, যেমন ইচ্ছা পোশাক পরবেন, এটা অবশ্যই আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে এটাও ঠিক, এ ধরণের পোশাক পরলে আশেপাশের লোলুপ দৃষ্টিগুলো ঠিকই আপনার শরীরটা চোখ দিয়ে চেটেপুটে খাবে। তাদের এই সুযোগটা আপনিই করে দিচ্ছেন। এদের যতই দৃষ্টি সংযত করার কথা শোনান না কেন, তাদের মাথায় ঢুকবে না। এদের চরিত্র পঁচে গিয়েছে।

একটা মানুষ রাস্তাঘাটে এসব দেখে, বাসায় বসে পর্ন দেখে, এর ইফেক্টটা পড়ে তার চরিত্রে। ইন্টারনেটে এবং মোবাইলে সহজলভ্য পর্নের কারণে স্কুলের ছোট ছোট ছেলেরাও লুকিয়ে মেয়েদের নগ্ন শরীর দেখছে। তারা তাদের কচি মনে এই ধারণা নিয়ে বড় হচ্ছে, মেয়েদের সাথে বুঝি এমনই করতে হয়। মেয়েমানুষ মানেই সেক্স। এরাই পরবর্তীতে সুযোগ পেয়ে ক্লাসমেট, প্রতিবেশী মেয়ে, এমনকি নিজের আত্নীয়াদেরকেও ছাড় দেয় না। শিশুদের ধর্ষণ করে এটা ভেবে, বাচ্চা মানুষ কাউকে কিছু বলতে পারবে না। ধর্ষণের পর ধরা পড়ে যাবার প্রচণ্ড ভয় থেকে এরা খুন পর্যন্ত করে বসে। পৃথিবীর যাবতীয় ক্রিমিনালেরা মানসিকভাবে দুর্বল চিত্তের অধিকারী হয়ে থাকে। দুর্বল চিত্তের মানুষ বলেই নার্ভাস ব্রেক ডাউনের শিকার হয়ে খুন করে বসে।

এই বিষয়গুলো বন্ধ না করে কীভাবে আপনি মানসিকতায় পরিবর্তন আনবেন? সরকার পর্ন সাইটগুলো বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে সাধুবাদ জানাই। তারপরও অনেকেই বিকল্প পন্থায় দেখছে। ভবিষ্যতেও দেখবে। তবে সহজলভ্যতা অনেকাংশে কমে আসবে।

একটা ঘটনা দিয়ে শেষ করি, লক্ষাধিক মেম্বার সমৃদ্ধ গ্রুপ DSU-তে এরকম একটা পোস্ট দেখেছিলাম, ফ্রেন্ডের সাথে সেক্স করতে চাও কিংবা করেছো কে কে? ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও খুব বোল্ডলি কমেন্টে জানিয়েছিলো, তাদের অনেকেই করেছে এবং তা রিলেশনশিপে থাকা অবস্থায়। হতবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম, কেউ কেউ তাদের কাজিনদের কথাও কমেন্টে জানাচ্ছে। কাজটাকে তারা কেউই খারাপ বলে মনে করছে না। এটা করায় তাদের মনে কোনো অপরাধবোধ নেই। ভাবতে পারেন মানুষ কতটা নষ্ট হয়ে গেলে, কতটা নিচে নেমে গেলে অন্যায় কিছু করেও সেটাকে অন্যায় ভাবে না, কোনো অপরাধবোধে ভোগে না।
Share:

লালা কলেজ রোড ও শনিবারি সেতুর যানজট সমস্যা নিয়ে সরব বিডিএসএফ। নিরব ভূমিকায় জেলা প্রশাসন

দ্যা সেডো অফ বরাক,১৪ সেপ্টম্বর,লালা:আগামী ৭দিনের বিতরে যদি লালা কলেজ রোডের যানজট সমস্যা সমাধান করতে না পারেন জেলা প্রশাসন তাহলে বিডিএসএফ আন্দোলনে নামবে। ঐ রাস্তা দিয়ে কলেজে যাতায়াত করতে পড়োয়ারা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখিন হন, কলেজ রোডের উপর বিল্ডিং নির্মাণ করে রাস্তার কিছু অংশ নিজেদের দখলে নেওয়া হয়েছে কিন্তু প্রশাসন নিরব। ঐ রাস্তা উপর দিয়ে তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্টানে শিক্ষা অর্জনের উদ্দেশ্য হাজার হাজার পড়োয়ারা যাতায়াত করেন কিন্তু সব সময় যানজট লেগে থাকে তাই পড়োয়ারা অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে কিন্ত প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না নিরব ভূমিকায় প্রশাসন, এবার কিন্তু বিডিএসএফ মাঠে নামছে লালা অঞ্চলের বৃহত্তর ছাত্রের সার্থে ৭দিনের ভিতরে যদি যানজট সমস্যা সমাধান করতে ব্যর্থ হয় প্রশাসন তাহলে বিডিএসএফ আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে। রাস্তার উপর উপর বিল্ডিং নির্মাণ করে রাস্তা ছোট করা হচ্ছে কিন্তু কোন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না কেন? পরিক্ষার সময় ছাত্র ছাত্রীরা সময় মতো পরিক্ষা কেন্দ্রে উপস্তিত হতে পারেন না এমনকি ক্লাসে ও সময় মতো উপস্তিত হতে পারেন নি। এদিকে শনিবারি বাজারের সেতুর নির্মাণ হবে, হচ্ছে, হতে চলেছে, সেংশন হয়েগেছে শোনা যাচ্ছে গত দুই বছর থেকে শোনে আসছি কিন্তু নির্মাণ কার্যে হাত দেওয়া হয় নি তাই জেলা প্রশাশন ও বিভাগীয় আধিকারিক ও স্হানীয় বিধায়ক সুজাম উদ্দিন লস্করের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যত সম্ভব দ্রুত সেতুনির্মাণ কার্য আরম্ভ করান ঔ সেতু উপর দিয়ে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টান থেকে শিক্ষা অর্জননের জন্য হাজার হাজার পড়োয়া যাতায়াত  করেন ঐ সেতুর উপর নির্বর করছে দক্ষিণ হাইলাকান্দির উন্নয়ন বিশেষ করে ঐ সেতুর উপর দিয়ে লালা এলাকার ৩টি কলেজ, দুটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সহ লালার প্রায় ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্টানের ছাত্র ছাত্রীর বিগত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন অসুবিধার সম্মূখীন পড়োয়ার। বৃহত্তর লালা অঞ্চলের পড়ুয়াদের যাতায়াত  ব্যবস্থার সুবিধার্থে আন্দোলনে নামবে এবার    বরাক ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্ট ফ্রন্ট বিডিএসএফ।
Share:

আধুনিক যুগে আজ‌ও এইরকম রাস্তা আছে ভাবা যায়?

দ্যা সেডো অফ বরাক,১৪ সেপ্টম্বর,বদরপুর:
বদরপুর বিধানসভা এলাকার কালীগঞ্জ অঞ্চলের বলেশ্বরের ( রন্দ্রটিলা) দৃশ্য। প্রায় এক কিলোমিটার কর্দমাক্ত রাস্তায়  চপ্পল হাতে নিয়ে পায়ে হেঁটে নিত‍্য পারাপার এলাকাবাসীর। এলাকার নেতা মন্ত্রীরা কি ওদিকে নজর দেননা? উত্তরে এলাকাবাসীর ভাষায় বুঝা গেল বিধায়ক জামাল উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ। বললেন, বিধায়কের তহবিল থেকে দেওয়া  টাকা বারবার বরাদ্দ হলেও উনার নেতা পাতিনেতারা তা আত্মসাৎ করে ফেলেন এবং তিনি নীরব ভূমিকা পালন করে আসছেন। কালীগঞ্জের " কর্মবীর"(?) তথা তিন তিনবারের বিধায়ক হয়েও উনার পৈতৃক এলাকা এখনও অন্ধকারে নিমজ্জিত।


Share:

উজানগ্রাম সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ৪

দ্যা সেডো অফ বরাক,১২ সেপ্টেম্বর,উজানগ্রাম:আজ দুপুর আনুমানিক ১ঘটিকার সময় শিলচর-কালাইন রোডে এক মার্মন্তিক সড়ক দূর্ঘটনা হয়। ঘটনাটি ঘটে  একটি পেসেঞ্জার ভর্তী অটো এবং বাইকের সংঘর্ষনে।বাই চালক শিলচর থেকে আসার পতে হটাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন আমতলা(উজানগ্রাম) এসে এবং সংঘর্ষন হয়ে যায় যাত্রী ভর্তী অটোরিকশার সঙ্গে। ঘটনা স্হলে বাইকচালক ডান হাতের বৃদ্ধা আংগুল হারান এবং অটোরিকশার ৩জন যাত্রী আহতন হন। আহতদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং বাইক চালককে সঙ্গে সঙ্গে১০৮ গাড়ি দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় শিলচর মেডিকেল কলেজে। অটো চালক ছিলেন শিলচর বেরেঙ্গার এবং বাইক চালক ছিলেন দূর্গাপুরের।

Share:

BJP কর্মীর হামলায় আহত দুই

দ্যা সেডো অফ বরাক,১১ সেপ্টম্বর, ধর্মনগর:
পূর্বে  BJP বাইক বাহিনী এসে যুবরাজনগর এবং ঢুপিরবন্দ পঞ্চায়েতের IPFT নেতা কর্মীদের দের বাড়ী এসে উপ নির্বাচনে প্রার্থী না দেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে যায়। আজ ১১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার আনুমানিক ১ ঘটিকার সময় যুবরাজনগর ব্লকের অন্তর্গত  IPFT যুবরাজনগর এবং ঢুপিরবন্দ পঞ্চায়েত যৌথভাবে তাদের প্রার্থীদের নিয়ে মনোনয়ন পত্র জমাদেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দে। ব্লকে যাওয়ার 200 মিঃ আগে রাস্তার পাশের জঙ্গল থেকে BJP র এক বিশাল গুন্ডা বাহিনী অতর্কিতে হামলা চালায়। IPFT র অনেক কর্মী আহত হন। অনেক গুলো গাড়ি ভাংচুর এবং জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে । IPFT র এই টিমের সাথে ছিলেন রাজ্য সহ সভাপতি অনন্ত দেববর্মা  বীরেশ দেববর্মা আপ্তাব আলী সহ অনেক নেতৃত্ব । এখন প্রশ্ন হল শরিক দলের নেতা বিধায়ক যেখানে সেইফ নয় সেখানে সাধারন   জনগনের নিরাপত্তা কোথায়।





Share:

বরাক ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্ট ফ্রন্ট বিডিএসএফ গণতন্ত্রের উপর বিশ্বাসী।

দ্যা সেডো অফ বরাক,১১সেপ্টম্বর,হাইলাকান্দি:ছাত্র নেতা আহাদ লস্করের উপর কাটলিছড়া হসপিটালে প্রাণঘাতী হামলা চালনাকারীর উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের দাবীতে বুধবার কাটলিছড়া বাজার বয়কট ও অর্থনৈতিক অবরোধের ডাক দেওয়ার পরিপেক্ষিতে জেলা প্রশাসন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসার আহ্বান জানান। আজ জেলা প্রশাসনের সাথে বৈঠকে বসেন বরাক ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্ট ফ্রন্ট বিডিএসএফ এর তিনজন উপদেষ্টা আইনজীবী তাহের আহমেদ বড়ভূইয়া,আইনজীবী বুরহান উদ্দিন বড়ভূইয়া, আইনের ছাত্র মহাম্মদ আলী। আজকের বৈঠকে ছাত্রনেতার উপর হামলা চালানোর ঘটনা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে এবং আগামী শনিবার/ রবিবার ছাত্রনেতার উপর হামলার ঘটনা সহ বিগত কয়েক বছর থেকে কাটলিছড়া গুণ্ডারা যেভাবে নির্দোষ মানুষদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছিলেন এব্যপারে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তিপক্ষের উপস্তিতে একটি ত্রিপাক্ষিক সভা অনুষ্টিত হবে কাটলিছড়া থানাতে। এদিন প্রশাসনের সাথে বৈঠক সেরে সাহাবাদে বিক্ষোব্দ জনতা ও বিডিএসএফ এর সদস্যদের সম্মূখে আইনজীবী তাহের আহমেদ প্রশাসনের ডাকা আলোচনা সভা থেকে এসে আজকের আলোচনা বিষয় বস্তু বিস্তারিতভাবে ভাবে তুলে ধরেন আইনজীবী তাহের আহমেদ বিক্ষোদ্ধ জনতাকে শান্তি সম্প্রিতি বজায় রাখার আহ্বান জানান আইনজীবী তাহের আহমেদ, ছাত্র নেতা আহাদ লস্কর, বুরহান উদ্দিন মজমুল প্রমূখ। ছাত্র নেতা আহাদ লস্কর গোটা হাইলাকান্দীবাসীদের কাছে শান্তি সম্প্রিতি বজায় ও গণতন্ত্রের উপর আস্তা রাখার আবেদন জানান তৎসঙ্গে আহাদ লস্কর ও আইনজীবী তাহের আহমেদ বলেন যেহেতু প্রশাসন আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন হামলাকারী দুষ্কৃতিদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে তাই প্রশাসনকে তাদের কর্তব্য পালন করতে দেন যদি নিরপেক্ষ তদন্ত করে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান না করা হয় তাহলে আমরা ও ঘরে বসে থাকবো না।

এছাড়া ও আজকে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল রেলির জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে আসা ছাত্র ও যুবাদের অভিনন্দন জানান আহাদ তাদের পাশে দাড়ানোর জন্য এদিনের সাহাবাদের সভায় বিডিএসএফ এর কেন্দ্রীয় কমিটি ও জেলার কর্মীরা উপস্তিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসনকে বিডিএসফ ধন্যবাদ জানায়
Share:

আজকের দিনে ধ্বংস হয় টুইনটাওয়ার

দ্যা সেডো অফ বরাক :
আজ সেই ভয়াল নাইন-ইলেভেন। ২০০১ সালের এদিনে আত্মঘাতী বিমান হামলায় ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার বা টুইন টাওয়ার। কে বা কারা এ হামলার নেপথ্যে ছিল তা জানার আগেই পুরোপুরি বদলে যায় পৃথিবী।সন্ত্রাসী সংগঠন আল কায়দাকে দায়ী করে আফগানিস্তান ও ইরাকে চালানো হয় ভয়ালতম গণহত্যা। ঘটনার প্রায় ষোল বছর পেরিয়ে গেলেও পৃথিবীব্যাপী তার রেশ রয়ে গেছে এখনো। এখনো মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশসহ পাকিস্তানে জঙ্গি নির্মূলের নামে প্রতিদিনই চলছে আমেরিকার ড্রোন হামলা, যাতে করে যতজন না জঙ্গি মারা যাচ্ছে, তার চেয়েও বেশি মারা যাচ্ছে বেসামরিক লোকজন।

 ১৯ জন আত্নঘাতী হামলাকারী এবং ৪টি বিমান

৪টি বিমানের দু’টির লক্ষ্য ছিল নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের উত্তর ও দক্ষিণ টাওয়ার। অন্য একটি আঘাত করে পেন্টাগনে, যেটির অবস্থান ওয়াশিংটনের ঠিক বাইরেই আর চতুর্থ বিমানটি আছড়ে পড়ে পেনসিলভানিয়ার একটি মাঠে।

 প্রাণহানি

এ হামলায় তিন হাজারের মতো লোক মারা যায়। যাদের মধ্যে চারশ’র বেশি ছিলেন পুলিশ এবং অগ্নিনির্বাপণ কর্মী। যুক্তরাষ্ট্রের অগ্নিনির্বাপণকর্মীদের জন্য ইতিহাসের ভয়াবহতম দিন ছিল এটি। একদিনেই মারা যায় ৩৪৩ জন। দশ হাজারের মত লোক আহত হয়, যাদের অনেকের অবস্থাই ছিল গুরুতর।

সেই ভয়াল দিন

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের সকাল। সেদিনের আবহাওয়া ছিল চমৎকার। মানুষ ধীরে ধীরে কর্মস্থলের দিকে যাচ্ছিলেন। সকাল ৮:৪৫ মিনিটে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৬৭ বিমানটি প্রায় বিশ হাজার গ্যালন জেট ফুয়েল নিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র বা ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের নর্থ টাওয়ারে আঘাত করে। এটি ছিল ১১০ তলা ভবন যার ৮০তম তলায় বিমান আঘাত করে। মুহূর্তের মধ্যে কয়েকশ’ মানুষ মারা যায়। বহু মানুষ আটকা পড়ে ওপরের তলাগুলোয়। এই ভবন এবং টুইন টাওয়ারের অপর ভবন টাওয়ার সাউথ টাওয়ার থেকে লোকজন সরিয়ে নেয়া শুরু হয়। টেলিভিশন চ্যানেলগুলো সরাসরি সম্প্রচার শুরু করে।
প্রথমে মনে করা হয়েছিল এটি কোন মাতালের কাণ্ড। কিন্তু ১৮ মিনিটের মাথায় ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের আরেকটি বোয়িং ৭৬৭ বিমান সাউথ টাওয়ারের ৬০তম তলায় ঢুকে পড়ে। প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হয়, ভবনের বিভিন্ন অংশ খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে আশপাশের ভবনগুলোর ওপর ছড়িয়ে পড়ে। তখনই প্রথম বোঝা যায় যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আক্রমণ শুরু হয়েছে।
তৃতীয় বিমান নিয়ে হামলা

অসংখ্য মানুষ যখন টুইন টাওয়ারের ওপর চোখ সেঁটে রেখেছেন তখনই ৯:৪৫ মিনিটে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের আরেকটি বিমান বোয়িং ৭৫৭ আঘাত করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদপ্তর পেন্টাগনের পশ্চিম অংশে। এখানেও বিপর্যয়ের কারণ ছিল জেট ফুয়েল। পেন্টাগনের ১২৫ জন সামরিক-বেসামরিক ব্যক্তি মারা যান, সাথে বিমানে থাকা ৬৪ জন আরোহীর সবাই মারা যান।
বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রের দু’টি টাওয়ারই ধসে পড়ে

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ঠিক কেন্দ্রে এ হামলার ১৫ মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রের সাউথ টাওয়ারটি ধ্বসে পড়ে। ধূলা আর ধোঁয়ার মেঘ তৈরি হয় সেখানে। আশেপাশের এক ডজনের বেশি স্থাপনা ধ্বংস হয় বা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রের টাওয়ার দু’টির কাঠামো তৈরি  হয়েছিল মজবুত ইস্পাতে, যা ঘন্টায় ২০০ মাইল বেগের বায়ু প্রবাহ, এমন কি বড় মাত্রায় অগ্নিকান্ড সহ্য করার জন্য যথেষ্ট ছিল। কিন্তু জেট ফুয়েল সৃষ্ট উত্তাপ সামলে নিতে পারেনি ইস্পাতের এই কাঠামোটি। সকাল ১০:৩০ মিনিটে ধসে পড়ে অপর টাওয়ারটিও। উদ্ধারকর্মীরা আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছিলেন ভবনটির ওপরের তলাগুলো থেকে লোকজনকে উদ্ধার করতে। বহু উদ্ধারকর্মী মারা যায়।

চতুর্থ বিমানটি নিয়ে হামলার চেষ্টা ব্যর্থ

নিউজার্সির ন্যুয়ার্ক বিমানবন্দর থেকে চতুর্থ বিমানটি উড়েছিল ক্যালিফোর্নিয়ার উদ্দেশ্যে। ৪০ মিনিটের মধ্যেই বিমানটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। কিন্তু বিমানটি যাত্রা করেছিল নির্ধারিত সময়ে চেয়ে দেরিতে। টেলিফোন আলাপে অনেক যাত্রীই জেনে যান টুইন টাওয়ারে হামলার বিষয়টি। বিমানটি ছিনতাইয়ের পর যাত্রীরা বুঝতে পারেন কি হতে চলেছে। কয়েকজন যাত্রী অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নিয়ে ককপিটে হামলা করেন, বাধা দেন ছিনতাইকারীদের। ১০:১০ মিনিটে পেনসিলভানিয়ার একটি মাঠে আছড়ে পড়ে বিমানটি। হামলাকারীরা বিমানটিকে আসলে কোথায় নিতে চেয়েছিল সেটি পরিষ্কার নয়। মনে করা হয়, হোয়াইট হাউজ, মেরিল্যান্ডে প্রেসিডেন্সের অবকাশ যাপন কেন্দ্র ‘ক্যাম্প ডেভিড’ কিংবা পশ্চিম উপকূলে থাকা কয়েকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কোন একটি ছিল তাদের লক্ষ্য।


ভবনটির নকশায় কোন ত্রুটি ছিল না

তদন্ত শেষে বলা হয় ভবনটির নকশায় কোন ত্রুটি ছিল না। এ ধরনের হামলার ঘটনা নজিরবিহীন। শত শত মিলিয়ন ডলার খরচ করতে হয় স্থানটি খালি করতে। ভবনটির কাঠামো ছিল ‘টিউব ইন টিউব’ পদ্ধতির। প্রতি তলায় জায়গা বাড়ানোর জন্য বাইরের দিকে বেশি পরিমাণে কলাম দেয়া হয়। আর ফ্লোর গুলোয় বেশি পরিমাণে বিম দেয়া হয়।  বিমানের আঘাতের পর বিস্ফোরণ স্থলের ওপর ভবনের ওপরের অংশ ধসে পড়ে, প্রচণ্ড উত্তাপে ইস্পাত গলে যায়। ওপরের চাপ নিতে না পেরে ভবন দু’টো নিচের দিকে ধসে পড়ে।



প্রেসিডেন্টের যুদ্ধ যোষণা

এ হামলা প্রচন্ড উদ্বেগ তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্রে। নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনা করে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জুনিয়র বুশকে সারা দিনই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নেয়া হয়। সন্ধ্যা সাতটায় হোয়াইট হাউজে ফেরেন তিনি। রাত নয়টায় দেশবাসীর উদ্দেশ্যে একটি ভাষণ দেন। তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা আমাদের সর্বোচ্চ ভবনগুলোর ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছে, কিন্তু তারা যুক্তরাষ্ট্রের ভিত কাঁপাতে পারে নি। এসব কর্মকান্ড ইস্পাত গলিয়ে দিতে পারে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ়তার যে ইস্পাত রয়েছে তাকে নয়”। সামরিক পদক্ষেপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যারা সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত তারা এবং যারা সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দেয় যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তাদের মধ্যে কোন তফাত নেই”। যুক্তরাষ্ট্র তার ভাষায় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী এক যুদ্ধ শুরু করে।



হামলার উদ্দেশ্য

১৯ জন হামলাকারীর সবাই ছিলেন সৌদি আরব এবং অন্য কয়েকটি আরব দেশের নাগরিক। বলা হয় সে সময়ের পলাতক ওসামা বিন লাদেন এ হামলার জন্য অর্থায়ন করেছিলেন। ইসরাইলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন, পারস্য উপসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সামরিক উপস্থিতিতে ক্ষুব্ধ হয়ে সংশ্লিষ্টরা এ হামলা চালিয়েছিলেন বলে বলা হয়।



হামলার পরিকল্পনা এবং পূর্ব উপকূল থেকে যাত্রা

হামলাকারীদের কয়েকজন এক বছরের বেশি সময় যুক্তরাষ্ট্রে কাটিয়েছেন এবং কয়েকটি বাণিজ্যিক ফ্লাইং একাডেমি থেকে বিমান চালনার প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। বাকি কয়েকজন হামলার কয়েক মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন। তাদের কাজ ছিল হামলাকারীদের শক্তিবৃদ্ধি করা। তারা সহজেই নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে বক্স কাটার এবং ছুরি নিয়ে বিমানে উঠতে সক্ষম হন। যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলীয় তিনটি বিমানবন্দর থেকে ক্যালিফোর্নিয়াগামী চারটি বিমানে চেপে বসেন তারা। গন্তব্য হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়াকে বেছে নেয়ার কারণ একটাই, দীর্ঘ যাত্রার জন্য জ্বালানিপূর্ণ থাকে এসব বিমান।

ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার নতুন করে

২০০৬ সালের ১৮ অক্টোবরে একই জায়গায় আবার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের কাজ শুরু হয়। এরই মধ্যে কংক্রিটের কাঠামো তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। গ্লাস এবং ইন্টেরিয়রের কাজ শেষে এ বছরের মাঝামাঝি (২০১৪) সময়ে অনুষ্ঠানিকভাবে চালু হওয়ার কথা ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের।



যাত্রীবাহী বিমান যে কারণে ধ্বংসাত্নক

সামরিক বিমান বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরক বহন করে, ফলে সেটির আঘাতে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে। কিন্তু যাত্রীবাহী বিমানে কোন বিস্ফোরক থাকে না। তবু মাত্র দু’টি বিমানের আঘাতই ১১০ তলা ভবন দু’টিতে ধস সৃষ্টি করেছিল। বিমানগুলো সেসময় জ্বালানি ভর্তি ছিল। বিপুল পরিমাণ জ্বালানিই ছিল বড় মাত্রায় বিস্ফোরণের জন্য দায়ী। আর এ বিস্ফোরণের ফলে ভবন দু’টো ধসে পড়ে, বিমানের আঘাতে নয়।
Share:

এইচডিএফসি ভাইস-প্রেসিডেন্টকে ইএমআই পরিশোধ করতে হত্যা করেছেন এক যুবক

দ্যা সেডো অফ বরাক,১১ সেপ্টম্বর,মুম্বাই:  HDFC সহ সম্পাদক সিদ্ধার্থ সংঘি হত্যা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত সারফরাজ শেখ, সোমবার তাকে তার বাইকটির জন্য ইএমআইর টাকা জমার জন্য টাকা দিতে গিয়ে হত্যার অবিযোগ দায় করা হয়।


গত সপ্তাহে তিনি যতারিতি বাড়িতে না ফেরায় উনার স্ত্রী  অভিযোগ দায় করেন স্হানিয় পুলিসস্টেশনে।পরে উনার লাস পাওয়া যায়।

Share:

মানবতার কোন ধর্ম নেই

দ্যা সেডো অফ বরাক,০৯ আগষ্ট রবিবার,তেলেঙ্গানা:
একটা জিনিস নিশ্চিত মৃত্যুর কোন ধর্মনেই না কোন জাতি আছে কারন মৃত্যু অনিবার্য।
এই কঠিন সময়ে সাহায্য করে মানবিকতার প্রমানের এটা হল এটি নজির মাত্র এবং অবশ্যই ইসলাম একটি নম্রতা ধর্ম।

এ ধরনের মানবতার আরেকটি উদাহরণ, তেলঙ্গানার বাসিন্দা ফায়েজ,৩৩ বছর বয়সী এক হিন্দু মেয়ে অসুস্থতার কারণে মৃত্যুবরণ করেন এবং হিন্দু রিতি অনুযায়ী  ফৈয়াজ শেষ কৃতিত্ব  সঞ্চালন করেন।

ভ্রাতৃত্বকে জানাই শুভেচ্ছা।


Share:

আজ_মাদ্রাসা_বাঁচাও_আন্দোলনের_কাছাড়_জেলা_কমিটি_গঠিত_হলো

দ্যা সেডো অফ বরাক,৯সেপ্টম্বর,রবিবার:
পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আজ বেলা ১ঘটিকায় যাত্রাপুর বাসটেন্ড মসজিদে মাদ্রাসা বাঁচাও আন্দোলনের ডাকে এক সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়। মূখ্য আহ্বায়ক মওলানা চৌধুরী_উসামা_মবরুর সাহেবের সভাপতিত্বে সভার শুরুতে উদ্দেশ্যে ব্যাখ্যা করেন মওলানা আব্দুল ওদুদ বড়ভূইয়া সাহেব। অতঃপর সর্বসম্মতি ক্রমে কাছাড় জেলা কমিটি গঠন করা হয়। নব গঠিত কাছাড় জেলা কমিটি নিম্নরূপ।
সভাপতি- মওলানা  ছাবির_আহমেদ_ক্বাসিমী,গুমড়া।
সহ-সভাপতি-
(১)ইউসুফ আহমেদ বড়ভূইয়া,বড়খলা।
(২)মঞ্জুর এলাহী লস্কর,শিলচর।
(৩)ফাহিম ইসলাম লস্কর।
সাধারণ সম্পাদক- মওলানা আব্দুল_ওদুদ_বড়ভূইয়া,শান্তিপুর।
সহ-সম্পাদক-
(1)উসমান গণি মাজুমদার,শিলচর।
(2)মাওলানা শাহ ফরিদ,সোনাই।
 (3)মুস্তাকিম আহমেদ লস্কর, বড়খলা।
 (4)নুর আহমেদ মাঝারভূইয়া,ভাঙ্গারপার।
প্রচার সম্পাদক- জয়েদ_আযাদ_মাজুমদার,ভাঙ্গারপার।
তাছাড়া একত্রিশ  জন সদস্য বিশিষ্ট এক শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হয় এবং কেন্দ্রীয় কমিটির জন্য পাঁচজন প্রতিনিধি মনোনীত করা হয়।
আজকের এই সাধারণ সভায় বিশিষ্ট জনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,কাছাড় টাইটেল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুল ওদুদ লস্কর,মাওলানা নুরুল ইছলাম,মাওলানা জহিরুল ইছলাম, কারিমগঞ্জের মাওলানা আব্দুল ওয়ারিছ সাহেব ও মাওলানা নুরুন নবী চৌধুরী,শিলচরের মাওলানা ইমরান খান,মুফতি কমরুল হুদা প্রমুখ।
Share:

গুয়াহাটির কাছে ব্রহ্মপুত্র নদীতে 80 জন যাত্রী ও গাড় চালকসহ যান্ত্রিক নৌযান ডুবে যায়

দ্যা সেডো অফ বরাক,গুয়াহাটি, ৫ সেপ্টেম্বর: 
আজ দুপুর প্রায় 1.30 মিনিটে গুয়াহাটির কাছে ব্রহ্মপুত্র নদীতে 80 জন যাত্রী ও গাড় চালকসহ যান্ত্রিক নৌযান ডুবে যায়। প্রায় ১২ জন যাত্রী নিজেরাই সাঁতার কেটে জীবন বাছায়, কিন্তু বাকিরা বেশির ভাগই নারী ও স্কুলে শিশু তাদের কে এখন খুজে পাওয়া যায়নি ।
 দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ২৫ সদস্যের দলকে উদ্ধার তৎপরতায় অবিলম্বে কার্য দেওয়া হয়েছে।
প্রায় দুই ঘন্টা পরে, এসডিআরএফ একটি কিশোরী মেয়েকে বের করগে সক্ষম হয়। অনুসন্ধানটি এখনও চলছে।


গৌহাটি থেকে উত্তর গুয়াহাটিতে যাত্রীদের বহনকারী  বোর্টের  নদীর কিনারা পৌঁচার ২০০মিটার আগে  হটাৎ ইঞ্জিন বন্ধ  হয়ে যায়।

বেঁচে থাকা এক যাত্রী , Utplal Chamua বলেন যে তিনি উদ্ধার বাহিনীর নৌকা উপর জাম্প মেরে তার জীবন রক্ষা করেন কিন্তু বাকিরা সময় পায়নি ঝাপদেয়ার জন্য।
Share:

আগামি কাল হতে চলেছে এবদিবসও কার্যকলাপ প্রশিক্ষণ শিবির

দ্যা সেডো অফ বরাক,বিহাড়া,৫ সেপ্টেম্বর :
প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও হতে চলছে কালাইন শাখার একদিবসিও কার্যকলাপ প্রশিক্ষন শিবির ও নুতন কমিটি গঠন।তাই কালাইন শাখার পক্ষ থেকে প্রত্যেক স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীকে আগামী রবিবার কালাইন হাইয়ার সেকেন্ডারি স্কুলে সকাল ১১ ঘটিকার সময় উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানান যাইতেছে।
Share:

পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের আজান টিভিতে প্রচার না করলে টিভির লাইসেন্স বাতিলের ঘোষনা।

ইমরান খান ম্যডেল স্টাম্প ভেঙে ফেললেন,
পাকিস্তানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের আজান টিভিতে প্রচার না করলে টিভির লাইসেন্স বাতিলের ঘোষনা।
Share:

পরিত্যক্ত ডায়েরী


         দোকান থেকে আসার সময় সিগারেট নিলাম ২টা। রাতটা পার করতে হবে,রাতটাও মনে হয় অনেক বেশি হয়ে গেছে।হোস্টেলের গেটের পাশে দাড়িয়ে থাকা দারোয়ানটাও দেখছি ঝিমুচ্ছে।যাই হোক, গেইট দিয়ে প্রবেশ করা যাবেনা দেয়াল টপকে চলে গেলাম রুমে। একটা মোমবাতি জ্বালালাম।ডায়েরিটা নিলাম পুরোনো লেখাগুলো বার বার পড়ছি।প্রতিদিন ঠিক এই সময়টাতে আমি ডায়েরীতে লেখাগুলো পড়ি।
১৩,০৮,২০১৬ বিকাল ৫ টা রুমে বসে থাকতে ভালো লাগছিলোনা।ছাদে দাড়িয়ে ব্যাস্ত শহরটাকে দেখছিলাম।প্রায় বিকেলবেল আমি ছাদে এসে দাড়িয়ে থাকি।ইদানিং বাইরেও বেরুতে ইচ্ছে করেনা। হঠাৎ কোত্থেকে জানি গায়ের উপর একটা কাগজ এসে পড়লো, মনে হয় বাতাসেই উড়ে এসেছে।খুললাম,মনে হচ্ছে একটা একটা কবিতা।
নাহ কবিতা বললে ভুল হবে।একটা পেইজের মধ্যে খুব সুন্দর ভাবে মনের ভাব প্রকাশ করেছে মনে হচ্ছে।'
যিনি লিখেছেন তার নাম অবশ্য লেখা নেই। লেখাটা ছিল এইরকম,,,,,,,,
খুব ভালো লাগে মুহুর্তটা, যখন তুমি আনমনে তাকিয়ে থাকো একদিকে। তোমার উস্কখুস্ক চুলগুলো আরো বেশি ভালো লাগে।আচ্ছা তুমি আশে পাশে তাকাওনা কেন? কেন বুঝনা তোমাকে কেউ প্রতিদিন ফলো করে। কেউ তোমাকে অনেক ভালোবাসে।বিকালের অই মূহুর্তটাতে তোমাকে না দেখতে পেলে আমার কাছে পৃথিবীটাই অসহায় মনে হয়।এই তুমি হাসোনা কেন,তুমি কি জানোনা তোমার হাসির মুল্য আমার কাছে পৃথিবীটার চাইতেও বেশি।
আর বেশি পড়লাম না,  কারণ অন্যের চিঠি  আমি পড়ে কোনো লাভ নেই।আশে পাশে তাকালাম পাশের বাসার ছাদে দুইটা মেয়ের ছায়া দেখা গেলো। আমি ভাবলাম পেপারটা তাদের হতে পারে।তাই ছুড়ে মারলাম পাশের ছাদে,নেমে এলাম নিচে।
                ইদানিং সকালটা আমার রুটিনের বাইরে চলে যাচ্ছে। ঘুম থেকে উঠতে অনেক দেরী হয়ে যাচ্ছে।কলেজের  ক্লাস মিস হয়ে যাবে এই ভেবে সকালের নাস্তাটা ও করা হয়না।
 গতকাল রিক্সায় করে যাচ্ছিলাম কলেজে।হঠাত মনে হলো পাশাপাশি আমার পিছনে আরো একটি রিকক্সা।প্রায় এমন মনে হয়,পিছনে তাকালাম রিক্সায় একটি মেয়েকে দেখতে পেলাম।মেয়েটাকে চেনা চেনা মনে হচ্ছে। হুম মনে পড়েছে,আমাদের পাশের বাসার গেটের সামনে প্রায় এই মেয়েকেই তো দেখতে পাই।কিন্তু মেয়েটা আমাকে ফলো করছে।ধুর! কি সব ভাবছি মেয়েটা আমাকে ফলো করতে যাবে কেন।কলেজে গেলে কয়েকটা মেয়ে দেখি আমার দিকে তাকিয়ে হাসে। মেয়েগুলাকে তো প্রায় পাশের বাসার মেয়েটার সাথে দেখি।আমি জোকার নাকি আমাকে দেখে হাসতে হবে কেন।বাসায় চলে এলাম। মনে মনে ভাবছি দিন দিন মানুসের হাসির পাত্র হয়ে যাচ্ছি ঘটনা কি? ধুর কিচ্ছু ভাল্লাগছেনা।ছাদে চলে গেলাম।মোবাইলটা পকেট থেকে থেকে বের করবো এই মুহূর্তে চোখ গেলো ছাদের এককোনে  একটা গোলাপ পড়ে আছে। পড়ে আছে বললে ভুল হবে কেউ রেখে গেছে।ফুলটা হাতে নেয়ার আগে রুমমেট সাকিনরে ডাক দিলাম।
-পাশের বাসায় তোর গফ থাকে?
-আস্তাগফিরুল্লাহ
-ফুলটা কোথা থেকে আসলো!? মন্র হচ্ছে পাশের ছাদ থেকে কেউ রেখে গেছে।
আমি আবার প্রশ্ন করলামঃআজ সারাদিনে বাসার কেউ ছাদে এসেছে?
-কই নাতো!
-ছাদে  কোনো গোলাপ গাছ নেই যে গাছ  থেকে আসবে।
-আচ্ছা যা।
-অকে
                   সেদিন ব্যাপারটা  নিয়ে আর মাথা ঘামালামণা।পরদিন যখন ছাদে গেলাম  তখন ছাদের কোনায় একটি কাগজ দেখতে পেলাম। প্রতিবারের মতো এবারো হাতে নিলাম।পড়লাম কবিতাটা, বাহ,সুন্দরতো এবার আর সংকোচ না করে কাগজটা পকেটে পুরে নিলাম।কবিতাটা বার বার পড়তে লাগলাম,। সে রাত কবিতাটার দিকে চেয়ে কাটিয়ে দিলাম।অপেক্ষা করতে লাগলাম পরদিন বিকালের। কারন পরদিন বিকাল মানেই আরো একটি কবিতা।হুম প্রতিদিনি কেউ একজন কবিতা রেখে যায়।মাঝে মাঝে ভাবি অন্যের কবিতাগুলো এনে আমি অন্যায় করছি। কারণ কবিতাটা হয়তো অন্য কারো প্রাপ্য। পরে আবার লোভ সামলাতে পারিনা।
ধীরে ধীরে ভালোবাসতে লাগলাম কবিতাগুলোকে।এতদিনে তার কবিতাগুলো পরে একটা জিনিস বুঝতে পেরেছি যে, যিনি লিখেছেন তিনি একজন মেয়ে।মেয়েটার কবিতা গুলো এতো সুন্দর। না জানি মেয়েটা কত সুন্দর।আচ্ছা কবিতাগুলো ওর না তো?কিছুদিন আগে পাশের বাসার ছাদে একটা মেয়েকে দেখেছিলাম?কলেজে ইদানিং যাওয়া হচ্ছিলোনা।আজ অনেকদিন পর বেরুলাম।আমার অবশ্য রিক্সা পেতে কস্ট হয়না। রিক্সাওয়ালা মনে হয় যানেন আমি কোন সময় বের হব।আবার মনে হয় কেউ একজন আমার জন্য রিক্সা ঠিক করে রাখে। না হ কি যা তা ভাবছি? অন্য কেউ কেনো আমার জন্যে রিক্সা ঠিক করে রাখবে।কলেজে যাওয়ার পর আবার সেই প্যারা সহ্য করতে হল। সেই মেয়ে গুলার কাহিনী।আচ্ছা মেয়েগুলার ঘরে কি বাপ, ভাই নেই?যাক আমার ওত ভেবে কাজ নেই।বিকালে একটা সিদ্ধান্ত নিলাম।আজ সেই মেয়েটিকে দেখবোই যে ছাদের উপর কবিতা রেখে যায়।দুপুরের খাবার খেয়ে সোজা ছাদে চলে গেলাম, আর লুকোলাম ছাদের এক কোণায়।হঠাত একটা মেয়েকে দেখলাম তাদের বাসার ছাদ ক্রস করে আমাদের বাসার ছাদে আসছে।দুই বাসার ছাদ জোড়া লাগানো যার ফলে আসতে কস্ট হচ্ছেনা।মেয়েটাকে চেনা চেনা মনে হচ্ছে। হ্যা মনে পড়েছে পাশের বাসার মেয়েটি। যাকে আমি প্রতিদিনা গেইটেএ সামনে দাড়িয়ে থাকতে দেখি।আর মেয়েটার হাতে কি? কাগজ মনে হচ্ছে। তারমানে কবিতা গুলো এই মেয়েটা দিয়ে যায়।নাহ আর ভাবতে পারছিনা। বেরিয়ে এলা।এলাম আড়াল থেমে ডাকলাম মেয়েটিকে।
-এই যে দাড়ান।(মেয়েটি অপরাধির মতো ঘাবড়ে গেল)
-জি বলুন।
-কবিতাগুলো তাহলে আপনার লেখা।
-ইয়ে মানে হ্যা।
-কারো জন্যে রেখে যান প্রতিদিন তাইনা?
-হুম
-আমিতো অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি।
-কি?
-আপনার সবগুলো কবিতা আমি নি গিয়েছি।কারণ কবিতাগুলো আমার খুব ভালো লাগে।
-সমস্যা নেই। সেগুলো আপনার জন্যেই লেখা।
-কি?আমার জন্যে লেখা?আমার জন্যে আপনি কবিতা লিখতে যাবেন কেন।
-কারন আমি আপনাকে ভালোবাসি।অনেক আগে থেকে আপনার সামনে আসার সাহস হতনা তাই দূর থেকে দেখতাম।  প্রতিদিন রিক্সায় করে আপনাকে ফলো করতাম।আর আপনার বাসার সামনে আমি ই আপনার জন্যে রিক্সা ভাড়া করে রেখে দিতাম।আর কলেজে মেয়েগুলো আপনাকে দেখে হাসতো কারন তাদের আমি বলেছিলাম আমি আপনার গফ।
-আমি খুব ভাগ্যবান।
-কেন।
-কারণ এমন একটি মেয়েকে পেয়েছি যে আমাকে অনেক ভালোবাসে।বিশ্বাস কর আমিও তোমার কবিতাগুলোকে অনেক বেশি ভালোবেসে পেলেছিলাম।এবং সেই মানুসটিকে যে কবিতাগুলো লিখেছে।
-সত্যি
-হুম
         
সেদিন  তাকে কথা দিয়েছিলাম সারাজিবন তার হাতটি ধরে রাখবো। কিন্তু পারলাম না।
ক্যান্সার ধরা পরে তার শরীরে। রিলেশনের কিছুদিন পরেই।
আর তাকে ছাড়তে হয় পুরো পৃথিবীটা।
আমি হয়ে যাই একা, বড় একা।সিগারেটটা ছাড়া আর অন্য কেউ আমাকে সংগ দিতে চায় না।এভাবেই হয়তো কেটে যাবে আমার জিবনের বাকি দিনগুলো।আর মাঝে মাঝে মনে পড়বে সেই পরিত্যক্ত ডায়েরিটার কথা যেখানে আছে আমার আর তার হাজারো স্মৃতি।

                                                                                                                    - লেখকঃসাব্বির আহমেদ
Share:

নাগরিকপঞ্জি

হে স্বদেশ,হে মানুষ,হে ন্যস্ত-শাসন
নাগরিকপঞ্জি নবায়নে হেনাস্থা অকারণ
চাই সঠিক বিচার সু-শাসন
চলছে বাঙালির লাগাতার দংশন।

বিদেশী তকমায় ভয়ার্ত অহর্নিশি
ঈশানে আজ শত্রুর পদধ্বনি
ব্যাকুল কণ্ঠে অশ্রুর জলাঞ্জলি
দেখো বিবেক শরশয্যায় বাঙালি।

ওরা কেউ ভুঁইফোড় নয়
এসেছে পৃথিবীতে
ঠাঁই পেতে আকাশ দেখে
দেশের মাটিতে
কোন দেশ কার এই মাটি
ওরা জানতে চায় না
দুমুঠো খাওয়া শান্তির ঘুমে
ওরা উদ্বাস্তুর যন্ত্রণা।
      
                           -বিক্রমজিৎ দাস
Share:

বিজেপির বিধায়ক দিলিপ কুমার পালরের উপরে মোভ লিঙ্চিংয়ের অভিযোগে মামলা দায় করা হল।

দ্যা সেডো অফ বরাক,শিলচর, 3 সেপ্টেম্বর: শিলচরের বিজেপির বিধায়ক এবং আসামের প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার দিলিপ কুমার  পালকে রাজ্যের একটি মোব লিঙ্চচিং  জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

ঘটনাটি অম্বিকাপাতি, শিলচরের কাছাকাছি ঘটেছে।

একটি প্রেমিক-জিহাদের অভিযোগে একটি যুবককে রাস্তার মাঝখানে পুরুষের একটি দল মারাত্মকভাবে মারধর করে। আক্রমণের একটি ভিডিওও সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে তুলে ধরা হয়েছে।

এ ঘটনায় অভিযোগ করা হয়েছে যে এই ঘটনায় "বিধানসভা কর্তৃক নির্দেশনা অনুযায়ী" ঘটনাটি ঘটেছে।

পল এবং শ্বশুরের দুই শাখার বিরুদ্ধে সিলেটের সদর থানার একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।মোব লাঙ্চিং   ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

ঘটনাটি অম্বিকাপট্টি, শিলচরের কাছাকাছি ঘটেছে। একটি যুবককে লাভ জিহাদের অবভিযোগে রাস্তার মাঝখানে একটি দল মারাত্মকভাবে মারধর করে। আক্রমণের একটি ভিডিওও সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে তুলে ধরা হয়েছে।

এ ঘটনায় অভিযোগ করা হয়েছে যে এই ঘটনায় "বিধানসভা কর্তৃক নির্দেশনা অনুযায়ী" ঘটনাটি ঘটেছে।

পাল এবং তার দুই বডি গার্ডের র্বিরুদ্ধে শিলচর সদর থানার একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।


Share:

মাত্র ৩ লক্ষ টাকার জন্য মনিকাকে ভূগতে হচ্ছে বিরল রোগের জন্য!

দ্যা সেডো অফ বরাক,২সেপ্টম্বর:
মনিকা পাল, কালাইন ধুমকরের ১৭ বৎসরের মেয়ে বিরল রোগে আক্রান্ত, মনিকার বাবা কৃপাময় পাল অত্যন্ত দরিদ্র, মেয়ের চিকিৎসার খরছের যোগান ধরতে তিনি অপারগ। হায়দ্রাবাদের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ গেস্ট্রোএন্ট্রলজির চিকিৎসকরা মনিকাকে প্যানক্রিয়াইটিসে অপারেশন করতে বলেন , তার জন্য প্রয়োজন ৩ লক্ষ টাকা।মনিকার বাবা সকলের কাছে অর্থসাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।

ইতিনমধ্যে কাঠিগড়ার মাননীয় বিধায়কের বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয়েছে , বিধায়ক মহাশয় অতি দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন ।

আমি বরাকের সকল সহ্রিদয় ব্যক্তিকে মনিকাকে সাহায্যের আবেদন জানাই । আপনাদের ছোট ছোট সাহায্য মনিকাকে সুস্থ হতে সাহায্য করবে ।।

আপনারা এই ব্যাঙ্ক একাউন্টে মনিকাকে সাহায্য করতে পারেন
A/C No 2014000100069106
A/C Holder Ajit Paul
Punjub National Bank ( Hilara Branch)
IFSC Code PUB0201400

মনিকার কাকু অমিত পালের নম্বর- 9954351500
Share:

কৈলাশ, মানস সরোবর আওর বাদশাহ আওরঙ্গজে

ভারতের সনাতনী ধর্মাবলম্বীরা যতো আস্থা- ভরসা ভগবান শিবের উপরে রাখেন ততো আস্থা-ভরসা ভগবান রামচন্দ্রের উপরে রাখেন না। এর প্রমাণ স্বরূপ ভারতে এবং বিদেশে যতো শিব মন্দির এবং শিবলিঙ্গ আছে তার অর্ধেক মন্দির  ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের নেই।

ধার্মিক মাহাত্ম্যের কথা যদি বলি শিবকে ভগবান হিসেবে শ্রদ্ধা করা হয়, আর রামচন্দ্রকে ঈশ্বরের অবতার পুরুষোত্তম  অর্থাৎ পুরুষদের মধ্যে সর্বোত্তম অর্থাৎ মানুষ হিসেবে গণ্য করা হয়।


এই ভূ-পৃষ্ঠের উপরে কমপক্ষে 12 টি স্থানে রামচন্দ্রের জন্মভূমি বলে গণনা করা হয়, এবং সেই সব স্থানকে রামজন্মভূমি হিসেবে মন্দির তৈরী করা হয় এবং পূজাপাঠ করা হয়। যার মধ্যে পাঁচটি স্থান অযোধ্যাতে অবস্থিত, অবশিষ্ট কুরুক্ষেত্র, কম্বোডিয়া, পাকিস্তান এবং থাইল্যান্ডে আছে।

বলার অর্থ হচ্ছে রামচন্দ্রের জন্মভূমি নিয়ে সনাতনী ধর্মাবলম্বীরাই একমত নন। যদিও তারা শিবের বসবাস স্থল 'কৈলাশ মানস সরোবর' নিয়ে কারোর কারোর দ্বিমত নেই, অর্থাৎ সবাই একমত আছেন এবং কোনোও প্রকারের কোনোও বিবাদ-বিসম্বাদ নেই এবং আজ পর্যন্ত হয়নি।

সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে আজ পর্যন্ত ভারত বা ভারত শাসক বা আট শত বছরের পরে ভারতের ভাগ্যবিধাতার পদে অধিষ্ঠিত শুদ্ধ হিন্দু শাসক কোনোদিন 'কৈলাশ মানস সরোবর' কে চীনের কব্জা থেকে মুক্ত করার জন্য না কোনোও চেষ্টা করেছেন না মুক্ত করার জন্য কোনোও প্রকারের আন্দোলন করেছেন।

অর্থাৎ ভগবান শিবের বসবাস স্থল এখন চীনের কব্জায়। আর তাকে মুক্ত করানোর জন্য কোনোও সরকার চেষ্টা ও করেননি। যেখানে 12 টি স্থানে জন্মগ্রহণকারী ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের জন্মভূমি নিয়ে  পুরো দেশে মহাভারত হয়ে গেছে এবং এখনও হচ্ছে।

স্বাধীনতার পরে চীন "কৈলাশ পর্বত ও কৈলাশ মানস সরোবর" এবং অরুনাচল প্রদেশের এক বৃহৎ ভূ-খন্ড জোরজবরদস্তি  নিজেদের কব্জায় নিয়ে নেয়, এবং আধিপত্য বিস্তার করে। দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী 'জওহরলাল নেহরু' UNO যান এবং দাবী জানান চীন অবৈধভাবে ভারতের এক বিশাল ভূ-খন্ড কব্জা করে রেখেছে। সেই ভূ-খন্ড ভারতকে ফেরৎ দেওয়া হোক।

ভারতের এমন দাবীর উত্তরে চীন জানায় - আমরা ভারতের কোনোও ভূ-খন্ডে জোরজবরদস্তি কব্জা করে রাখিনি। আমরা আমদের দেশের সেইটুকু ভূ-খন্ড ফেরৎ নিয়ে নিয়েছি যেটুকু 1680 খ্রিস্টাব্দে ভারতের এক বাদশাহ চীনের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। চীনের এই জবাব আজোও UNO তে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।

আপনারা জানেন চীন কোন বাদশাহ নাম নিয়েছিল? "বাদশাহ আওরঙ্গজেব।"

আসলে চীন এর পূর্বে ও ভারতের ঐ অংশে কব্জা করে রেখেছিল। বাদশাহ আওরঙ্গজেব চীনের চিং রাজবংশের রাজা 'প্রথম শুংজী' -কে পত্র প্রেরণ করেন। সেই পত্রে বাদশাহ আওরঙ্গজেব আবেদন করেন- "কৈলাশ মানস সরোবর হিন্দুস্থানের অংশ, এবং আমার হিন্দু ভাই-বোনদের আস্থার কেন্দ্র। অতএব আপনারা হিন্দুস্থানের ঐ অংশ মুক্ত করে দিন।"

কিন্তু দেড় মাস পরেও চীনের রাজা 'প্রথম শুংজী' -এর কোনোও উত্তর না পেয়ে বাদশাহ আওরঙ্গজেব চীনের উপরে আক্রমণ করে দেন। বাদশাহ আওরঙ্গজেবের সঙ্গে এই যুদ্ধে ছিলেন কুমাঁউ -এর রাজা 'বাজ বাহাদুর চন্দ্র'। তিনি বাদশাহ আওরঙ্গজেবের সঙ্গে কুমাঁউ-এর পথ দিয়ে দেড় দিনে চীন পৌঁছে যান এবং দেড় দিনে চীনের কাছ থেকে ভারতের ভূ-খন্ড ছিনিয়ে নেন।

ইনি সেই বাদশাহ আওরঙ্গজেব যাকে কট্টরপন্থী ইসলামিক বাদশা এবং 'হিন্দুকুশ', 'হিন্দু বিরোধী' বলা হয়। কেবলমাত্র তিনিই সাহস দেখিয়ে ছিলেন এবং সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে দিয়েছিলেন।

ইতিহাসের এই অংশের প্রমাণ যদি চান তবে স্বাধীনতার সময়কালের UNO -তে আজোও সংরক্ষিত করে রাখা সেই দলিল, সেই হলফনামা দেখে আসতে পারেন।

#Reference:

History of Uttaranchal, Written by- O. C. Handa

The Tragedy of Tibbat- Manmohan Sharma

(অনুবাদিত- National Speak News Portal -এ প্রকাশিত, জাহিদ এর লেখা)
Share:

Followers

Information Corner

Contact Us

Name

Email *

Message *

Popular Posts

Search

Blog Archive

Powered by Blogger.

Labels

Blog Archive

Recent Posts